Post Feature


বিটকয়েন কি?কিভাবে বিটকয়েন Faucet সাইট থেকে ফ্রি বিটকয়েন আয় করবেন?প্রতিদিন কত ডলার আয় করতে পারবেন?(13.08.2015)



01.বিটকয়েন কি?

বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে বা মোবাইলে । বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে অথবা কোন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ।



02.বিটকয়েনের মূল্য-


বর্তমানে ১টি বিটকয়েনের মূল্য $271 ডলার । অর্থাৎ 1BITCOIN = ২১,৬৮০ টাকা
১ টাকা = ১০০ পয়সা । তেমনি ১ বিটকয়েন = ১০,০০,০০,০০০ সাতোশি ( ১০ কোটি শাতোশি) আবার ১০০ শাতোশি = ১ বিট
1 USD = 378,788 সাতোশি বা 0.00379377 BTC

বিটকয়েন এর ক্ষুদ্র এককঃ
1 MBTC = 1000000 BTC
1 uBTC = 0.00000 BTC
1 mBTC = 0.001 BTC
1 satoshi = 0.00000001 BTC


03.কিভাবে আয় করবেন?
বিটকয়েন আয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি বিটকয়েন একাউন্টখুলতেহবে। সহজে বিটকয়েন একাউন্ট খুলার জন্য আমার আগের পোস্টটি দেখুন-
যেভাবে সহজে বিটকয়েন একাউন্ট বা কয়েনবেইস একাউন্ট খুলবেন


বিভিন্ন Faucet সাইট থেকে বিটকয়েন আয় করা যায় । অনেক বিটকয়েন Faucet সাইট রয়েছে যারা প্রতি এড রেভিনিউ এবং এড ক্লিক করার জন্য বিটকয়েন পে করে থাকে নিচের চিএটি দেখুন -





উপরের চিএটি হচ্ছে একটি বিটকয়েন Faucet সাইটের। সাইটিতে বিভিন্ন রকমের এড দেখা যাচ্ছে।তারা মূলত এই এডগুলি দেখার এবং ক্লিক করার জন্য ভিজিটরদের পে করে থাকে। [বি:দ্র: যারা বিটকয়েন আর্ন করবেন তারা আতিরিক্ত বা প্রতিবার একই এড এ ক্লিক করবেননা, একেকবার একেক এড এ ক্লিক করবেন। চার বার ভিজিট বা আর্ন করার পর ১ বার এড এ ক্লিক করবেন।]


যেভাবে বিটকয়েন Faucet সাইট থেকে বিটকয়েন আয় করবেন -
প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন বিটকয়েন Faucet সাইটে গিয়ে আপনার বিটকয়েন টি দিতে হবে এবং হিউমেন ভেরিফিকেশন এর জন্য একটি ক্যাপচা পূরন করতে হবে । ক্যাপচাটি পূরন করার অর্থ হলো আপনি যে একজন ভিজিটর কোন বোট বা সফটওয়্যার না তা প্রমান করা । নিচের ভিডিওটি দেখুন এখানে কিভাবে বিটকয়েন Faucet সাইট থেকে বিটকয়েন আয় করবেন তা দেখানো হয়েছে -







60++ হাই পেআউট বিটকয়েন Faucet সাইটের লিস্ট জানতে আমার আগের পোস্টটি দেখুন- 60++ হাই পেআউট বিটকয়েন Faucet সাইটের লিস্ট


04.কত ডলার আয় করতে পারবেন?


একেক বিটকয়েন Faucet সাইট একেক রকম পে করে থাকে এবং সময় বেধে দেওয়া থাকে। যদি কোন বিটকয়েন Faucet সাইটে 15 মিনিট সময় বেধে দেওয়া থাকে তাহলে আপনি ঐ সাইট থকে প্রতি 15 মিনিট পর পর বিটকয়েন আয় করতে পারবেন। ভালোভাবে কাজ করলে আপনি নিজে প্রতি ঘন্টায় $1-2++ আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া প্রতিটি বিটকয়েন Faucet সাইটে 15%-55% পর্যন্ত রেফারেল কমিসন থাকে । কস্ট করে যদি কিছু রেফারেল বানাতে পারেন তাহলেতো প্রতিদিন $10++ সহজেই আয় করতে পারবেন ।




ফেসবুক পেজ www.facebook.com/onlineincomeideabd


অনলাইন আয় বিষয়ক নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ।

বিট কয়েন ক্যাশ/উইথড্র করুন বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে !!


কয়েনবেইজ সাইট হতে কিভাবে অর্থ উইথড্র করবেন। মূল কথা বাংলাদেশে বাংলাদেশী টাকাতে পেমেন্ট পাবেন। হ্যা বন্ধুরা আজকের বিট কয়েনের ২য় পর্বের পোস্টে আপনাদেরকে তা দেখিয়ে দিব।
কয়েনবেইজ সাইট হতে গেটওয়ে পেমেন্ট পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি সাইট রয়েছে যেমন: Alfa cashier, goldux, coin Trans root ইত্যাদি। তার মধ্যে হইতে এমন একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব ও কৌশল শেখাব যার মাধ্যমে খুব সহজে বিটকয়েন উইথড্র(ক্যাশ) করতে পারবেন বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকে। যেমন- Islami bank ltd, DBBL, UCBL, FISB, AB Bank, Prime Bank, Jamuna, Trsut Bank সহ ইত্যাদি সকল অনলাইন ব্যাংক (শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশেও এই পদ্ধতি কাজ করবে)।



Step: 1 (Pay Account)
বাংলাদেশের যেকোন অনলাইন ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের জন্য আপনার অবশ্যই একটি Payza একাউন্ট থাকতে হবে। কারন বাংলাদেশের যেকোন অনলাইন ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করা নির্ভরযোগ্য একটি সাইট।



★ Payza একাউন্ট না থাকলে আমার আগের পোস্টটি দেখুন এখানে Payza ভেরিফাইড একাউন্ট খোলার A-Z বর্ণনা করা হয়েছে ★

★Payza Online Bank Account তৈরি করার মাধ্যমে Outsourcing বা অনলাইনে রোজগারের টাকা বাংলাদেশে নিরাপদে ক্যাশ করুন ★



(বি:দ্র- যদি পূর্বে একাউন্ট ওপেন করা থাকে তাহলে সমস্যা নাই, এটি দ্বারাই কাজ করা যাবে)



Step:2 (Exchange E-Currency:)
কয়েনবেইজ সাইট হতে টাকা বাংলাদেশে ক্যাশ করতে তথারুপ পেইজাতে আনতে হলে এই লিংকে ক্লিক করে আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট খুলুন। এটি অনলাইনে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করার নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। মূলত এই সাইটের মাধ্যমে আপনার বিটকয়েন ডলারে পরিনত হয়ে Payza একাউন্টে যাবে।
রেজিস্ট্রেশন করতে বাম পাশে +Sign up লেখাতে ক্লিক করুন।নিচের চিত্রের মতএকটি পেজ আসবে।এখানে সব তথ্য দিয়ে পুনরায় Sign up লেখাতে ক্লিক করুন।





তারপর আপনার ইমেইল ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেসেজ আসবে। এখান থেকে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিন। এবং সাইটে লগ ইন করুন।


রপর (1) Buy & Sell E-Currency তে ক্লিক করুন। তারপর (2)Select from =Bitcoin এবং Select to =Payza USD নির্ধারণ করে দিন। তারপর আপনার বিটকয়েন পরিমান (minimam 0.1 BTC) লিখে (3) Send/Next বাটনে ক্লিক করুন।

বি.দ্রঃ আপনার coinbase একাউন্টেযেপরিমান BTC জমা হয়েছে তা উপরের দেখানো বিটকয়েন পরিমানে লিখবেন।কমবেশি করবেন না।তারপর নিচের মত একটি পেজ আসবে। এখানে আপনার Payza একাউন্টে যে ইমেইল এড্রেস দিয়ে সাইন আপ করেছেন সে ইমেইল আইডি লিখে Send বাটনে ক্লিক করুন।








নিচের চিত্রের মত দেখাবে- এখানে আপনাকে একটি বিটকয়েন এড্রেস দেয়া হবে। এটি কপি করে রাখুন, একটু পর কাজে লাগবে।






Step: 4 : Send Money:

এখন আপনার Coinbase একাউন্টে লগইন করুন। তারপর My Wallet=>Send Money তে ক্লিক করুন।
নিচের মত একটি পেজ দেখাবে। এখানে To: তে কিছুক্ষন আগে যে বিটকয়েন এড্রেস পেয়েছেন তা Paste করুন। Amount এ আপনার বিটকয়েনের পরিমান (যা GOLDUX সাইটে লিখেছিলেন) লিখে Send Moneyতে ক্লিক করুন। এখানে সার্ভিস চার্জ হিসাবে আপনার একাউন্ট থেকে কয়েনবেসে 0.002BTC কেটে রাখা হবে। তাই হিসাব করে Amount লিখুন।



আপনাকে Confirmation মেসেজ জানানো হবে।
আপাতত আপনার কাজ শেষ। অপেক্ষা করুন এবং চেক করে দেখুন আপনার Payza একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে কিনা। বেশিক্ষণ লাগার কথা নয়, মিনিমাম ৩০ মিনিট হতে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা লাগতে পারে।





উক্ত কাজের প্রমান (বিট কয়েন পেইজা একাউন্টে যোগ হওয়া):

01. payza


02. Goldux

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আপনার Payza তে ডলার জমা হবে তখনি আপনি বাংলাদেশের যেকোন অনলাইন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।


Step-5: Payza ক্যাশআউট পদ্ধতিঃ
এবার আপনার Payza একাউন্টে লগইন করে Withdraw Funds এ ক্লিক করে আপনার বাংলাদেশের Bank Transfer করুন।

বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের ১০ উপায়


তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছো? তাহলে, আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ কিন্তু, এগুলো থেকে বেশী টাকা রোজগার করা যায় না। এ তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার, তা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নরুপ,
১।পেড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার

সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।
২।নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার


এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
৩।পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার


পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাকস্‌.টু

৪।তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন

যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনার্‌রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।
৫।গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার


গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই সেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।

৬।তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে

হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানীর ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। পেড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানী বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পন্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় পেড্‌ রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যালস্পার্ক
৭।এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)

এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবে আর যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পন্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পন্য বিক্রয় করতে পারো।
৮।ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার

যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।
৯।ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন

ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এড্‌মিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।
১০।টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা

বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানী রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবেন?

ক।চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।

খ।পেপেল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপেল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপেল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।

গ।পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি অডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে অডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।

ঘ।মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি

মানিবুকারস্‌ অনেকটা পেপেলের মতোই আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে। মানিবুকারস্‌

ঙ।এলার্টপে-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া


এটিও পেপেলের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো। এলার্টপে


চ।ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি


পেপেলের মতোই…ই-গোল্ড
আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?


এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।
তোমার মতামত জানাও


তুমি কি বাংলাদেশের লোক? তুমি কি অনলাইনে আয় করো? কিভাবে করো? কিভাবে শুরু করেছিলে? আমাকে জানাও, কোন প্রশ্ন থাকলে করে ফেলো আর দয়া করে এই পোস্টটি তোমার প্রিয় সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করো। ধন্যবাদ আর বেস্ট অফ সাক্‌সেস(সফলতা কামনা করছি)তোমার!

অনলাইনে আয় বিষয়ক বিভিন্ন গুরত্বপুর্ণ তথ্য !!


অনলাইনে আয় এখন কোন স্বপ্ন নয় বরং বাস্তবতা।আইটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । সেই সাথে বাড়ছে ফ্রি-ল্যান্সারদের সংখ্যা। অনেকেই নতুনভাবে আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রি-ল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ । সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই অনলাইনে আয় করতে পারেন না । যারা নতুনভাবে ফ্রি-ল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোষ্টটি।


অনলাইনে আয় বিষয়ক বিভিন্ন গুরত্বপুর্ণ তথ্য
১. একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করুন এবং অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যেমন গুগল অ্যাডসেন্স বা ক্রয়বিক্রয়(buysell) অ্যাড এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি চাইল গুগল ডাবলক্লিক এর মাধ্যমেও সরাসরি আয় করতে পারেন। অনেকের কাছেই অ্যাডসেন্স অ্যপ্রুভ করা ঝামেলার বিষয়। কিভাবে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ করবেন প্রয়োজনীয় নিদের্শাবলী দেখুন অ্যাডসেন্স নিদের্শনা
২.মেইলচিম্পের মাধ্যমে ইমেইল নিউসলেটার সেল করে আয় করতে পারেন। স্পন্সর বা সাবস্ক্রাইবার খুজে বের করতে হবে । যেখানে ভিজিটররা নিউসলেটার পাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করবে। HackerNewletter, NowIKnow এবং Launch.co এই ধরনের কাজের ভাল উদাহরণ হতে পারে।
৩. নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলুন এবং ইউটিউবের পার্টনার হয়ে যান। আপনি Oneload সাইটটি ব্যবহার করে আপনার ভিডিওটি অনেক সাইটে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৪. সৃজনশীল কিছু তৈরী করুন যেমন হ্যান্ডবেগ জুয়েলারি পেইন্টিং বা কুটিরশিল্প ইত্যাদি এবং তা বিক্রয় করতে পারেন ইটসি, আর্টফায়ার বা ই-বে তে বিক্রয় করতে পারেন।
৫.টি-শার্টের ডিজাইন করুন এবং www.threadless.com, জাজে বা ক্যাফেপ্রেস এ রাখুন। আর বিক্রয় করুন।
৬.নিজের অনলাইন স্টোর তৈরী করুন তা নিজস্ব ডোমেইন বা সপিফাই (shopify),স্কয়ার (লিংক: http://www.squarespace.com )স্পেস এ হতে পারে। যেকোন বস্তু খাবার থেকে শুরু করে ডিজিটাল পণ্য সবই সেল করতে পারেন।
৭.যে কোন বিষয়ের উপর বই লিখুন। তা কিন্ডেল স্টোর , গুগল, বা আইবুক এ প্রকাশ করুন। আপনি চাইলে ই বুক হিসাবে অন্য রিটেইলার দের কাছে ও বিক্রয় করতে পারেন। অন্য রিটেইলার বিক্রয়ের জন্য স্মাশউড ( Smashwoods )বা বুকবেবি (BookBaby) ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ইউডেমি Udemy বা স্কিল শেয়ারের SkillShare শিক্ষক হিসাবে যোগদান করুন আপনার প্রিয় বিষয় নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরী করুন। গিটার থেকে শুরু করে সাহিত্য ইয়োগা থেকে বিদেশী ভাষা যেকোন কিছু আপনি আন্তর্জাতিকভাবে শেখাতে পারেন।
৯. কোডিং শিখুন । গুরু Guru , ই-ল্যান্স eLance , আপওয়ার্ক , বি-ল্যান্সার এর মত মার্কেট প্লেস এ সফট্‌ওয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কাজ করুন।
১০. ভার্চুয়াল অফিস অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে প্রশাসনিক বা টেকনিক্যাল কাজে দুরবর্তী সহায়তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ই-ল্যান্স, টাস্কর‌্যাবিট TaskRabbit বা আপওয়ার্ক এ প্রচুর কাজ পাবেন।
১১.স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসাবে যেমন কোন ব্রাউজার এর এক্সটেনশন প্লাগিন,মোবাইল অ্যাপস (অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন) তৈরী করে আয় করুন । এক্ষেত্রে কোডকেনিওন CodeCanyon , চুপা Chupa বা বিনপ্রেসBinPress এ আপনার কোডটি বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।
১২. খুব সাধারণ কম্পিউটার জব যেমন ডাটা এন্ট্রি জব, ট্রান্সক্রাবিং কিংবা ভিজিটিং কার্ড তৈরী করে আয় করতে পারেন। এজন্য মেকানিক্যাল টার্ক Mechanical Turk ব্যবহার করতে পারেন।
১৩. সৃজনশীল কাজ যেমন লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন অন্যান্য মার্কেটিং এর উপাদানগুলো তৈরী করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ৯৯ডিজাইন 99Designs , ক্রাউডস্প্রিং CrowdSpring , ডিজাইনক্রাউডের DesignCrowd মত সাইটগুলো থেকে আয় করা যায়।
১৪. আপনার কি ভাল কন্ঠ আছে। আপনার যদি ইংরেজীতে জড়তা না থেকে থাকে তবে উমানো, ভয়েসবানী VoiceBunny , ভয়েস১২৩ Voice123 ভয়েস আর্টিষ্ট হিসাবে কাজ করে আয় করতে পারেন।
১৫.অনেকেই আছেন যারা ভাল গান করেন। আপনি যদি ভাল গান করে থাকেন অ্যামাজন এমপিথ্রি, আইটিউন , প্যান্ডোরা,স্পটিফাই এর গান গুলো বিক্রয় করতে পারেন। এজন্য ডিস্ট্রোকিড DistroKid , টিউনকোর Tunecore, লাউডার এফএম loudr.fm বা সিডিবেবির CDBaby সাহায্য নিতে পারেন। আপনি চাইলে সরাসরি আপনার অডিও ফাইল গুলো অডিও জংগল AudioJungle, পন্ড৫ Pond5 বিক্রয় করতে পারেন।
১৬. অ্যামাজন Amazon বা অন্যান্য অনলাইন স্টোরের অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে অনেক ভাল আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ভিজিলিংক Vigilink, শেয়ারএসেল ShareASale, কমিশন জাংশন CJ বা লিংক শেয়ার LinkShare এর মত সাইটগুলো অনেকভাল কাজ করে।
১৭. অনলাইনে টিউশন এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। যেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া,ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার কাজ পাওয়া যায়।টিউটর ডট কম Tutor.com, ইন্টাএডু InstaEdu, টিউটোরিয়াল ভিসা TutorVista এর মত সাইটে খুব সহজেই অনলাইন শিক্ষক হওয়ার আবেদন করে অনলাইনে টিউশন করতে পারেন।
১৮. বিদেশীদের জন্য বাসা ভাড়া দিয়েও আয় করা যায়। আপনার ঘরে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে আপনার কি কি জিনিসপত্র আছে আজই লিষ্ট তৈরী করে ফেলুন। এয়ারবিএনবি Airbnb কুসসার্ফিংCouchsurfing আপনাকে সাহায্য্ করবে।
১৯.আপনি কি ফটোগ্রাফি করেন,আপনার ফটোগ্রাফি যদি ভাল হয় তবে ক্রিয়েটিভ মার্কেট Creative Market 
ফটোদুন PhotoDune, আইস্টকফটো iStockPhoto , ইমেজ এম্বেডেড ImgEmbed এ আপনার তোলা ছবি গুলো বিক্রয় করতে পারেন।
২০. পুরোনো অব্যবহৃত জিনিসপত্র,শিশুদের খেলনা, দুর্লভ বই বা অতি প্রাচীন বা শখের বস্তুগুলো খুব সহজে বিক্রয় করতে পারেন ইবে, ক্রেগলিষ্ট,বিক্রয় ডট কম, কিংবা সেলবাজার এর মত সাইটে বিক্রয় করতে পারেন।
২১. আপনি একজন ওয়েবসাইট ব্যবহার কারী হিসাবেও আয় করতে পারেন। যে কোন ওয়েবসাইট টেষ্ট করুন, সুন্দর রিভিউ লিখুন একজন ব্যবহারকারী হিসাবে সাইটের সুবিধা অসুবিধাগুলো লিখে আয় করুন। ইউজারটেস্টার UserTesting সাহটের সাহায্যে আয করুন।
২২.আপনি হয়ত বিভিন্ন সময় আপনার বন্ধু বান্ধবদের টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাহায্য করেছেন। তাহলে অনলাইনে কেন নয় ? স্কাইপে স্ক্রিন শেয়ার, বা গুগল ক্রোমের দুরবর্তী স্ক্রিন শেয়ারের মাধ্যমে টেকনোলোজি সাপোর্ট দিয়ে খুব সহজে আয় করতে পারেন।
২৩.ফিভার Fiverr ও পিপলস পার আওয়ার PeoplePerHour এ অ্যাকাউন্ট করুন । এখানে সারা বিশ্বের অনেক বায়াররা বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে। এখানে অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন এসইও এবং অন্যান্য কাজ পাওয়া যায়।
২৪.আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুন বিক্রয় করেও আয় করতে পারেন। ফ্লিপপা Flippa , গো-ড্যাডি অকশন GoDaddy Auctions , সিডো Sedo ইত্যাদি সাইটে আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুনরায় বিক্রয় করতে পারেন ।

২৫. সর্বশেষ আপনি অনলাইন ব্যতীত অফলাইনে যেসকল ব্যবসার কথা চিন্তা করতে পারেন সবই অনলাইনে প্রয়োগ করা সম্ভব।

আউটসোর্সিং কি এবং কেন করবেন?


আউটসোর্সিং নিয়ে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে অনেক বেশি লেখালেখি হচ্ছে। রাতারাতি বড়লোক কিংবা রাতারাতি নিজেকে একটু বদলে নেবার আশা দিয়ে যারা বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করার চেষ্টায় মত্ত হয়ে আছেন একটি শ্রেনীর মানুষ। অনলাইনে আয় করা যায় এমন অনেক বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অনেক বন্ধুরায় প্রতারিতও হচ্ছেন।


কেউবা আবার বর্তমানে এই ক্ষেত্রটিকে (আউটসোর্সিং) সদ্য সমালোচিত এমএলএম ব্যাবসার সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। বাস্তব প্রেক্ষাপটে আউটসোর্সিং আসলে কি ?



আউটসোর্সিং কি?
শব্দটি আমাদের বাংলাদেশে যে খুব বেশি জনপ্রিয় কিংবা পরিচিত তা নয়, তবে কিছু শ্রেণীর অসাধু ব্যাবসায়ী আর লিপটপ বিজ্ঞাপনের কল্যাণে শব্দটি এখন অনেক মানুষের মনে নানাভাবে কৌতুহলের জন্ম দিয়ে চলছে, এবং ইতিমধ্যে আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে আউটসোর্সিং শব্দটি অতি পরিচিত একটি শব্দ হিসাবে পরিচিতি পাচ্ছে। অন্যদিকে আউটসোর্সিং আবার অনেকের কাছে নিন্দিত একটি শব্দ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে একিইভাবে। কিন্তু এমনটা কোনভাবেই হবার কথা মোটেও ছিল না। এখন থেকে ৭-৮ বছর আগেও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ এই শব্দটির সাথে পরিচিত ছিল না বললেই চলে। সেই সময় যে আউটসোর্সিং এর কাজ হতনা তা নয়, কিন্তু সেই সময় এখনকার মত ছিল না। প্রতিযোগীতা মূলক এবং পরিবর্তনশীল বিশ্বায়নের এই সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আর্থ-সামাজিকতার অস্থিরতার কারনে অর্থনৈতিক বৈশম্য দিনদিন বেড়েই চলছে এবং অব্যবস্থাপনার কারনে বেকার সমস্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। বাংলাদেশও এর অংশে কম নয় এবং তার শিকার আমরা প্রতিনিয়ত হচ্ছিও বটে। যার কারণে আমারদের দেশের বেকার যুবকদের পাশাপাশি অল্প-স্বল্প আয়ের মানুষেরা জীবনের প্রয়োজনে বিকল্প আয়ের উৎস খুজছে। এই সুযোগে আউটসোর্সিং শব্দটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছেছে বলে আমার। আসলে কি এই আউটসোর্সিং ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ধরণের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব ? এর সঠিক উত্তর হল সম্পূর্ণরুপে না হলেও অনেকাংশেই এর সম্ভব। তবে এর পেছনে বিভিন্ন রকমের কিন্তু জড়িত আছে বলে আমার ধারণা !! যেমন আমাদের বাংলাদেশের এখন যেখানে যায় না কেন, সেখানেই শোনা যায় এই আউটসোর্সিং এর কথা, যার উপস্থাপন হল কিভাবে “সহজ উপায়ে অনলাইনে আয়”।


আপনি কি আউটসোর্সিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী?
এত সহজে আমরা যদি অনলাইনে হাজার হাজার ডলার/টাকা আয় করতে পারতাম তাহলে পৃথিবী কোটি কোটি মানুষ শুধুই টাকা আয়ের জন্য দিন রাত পরিশ্রম বন্ধ করে শুধুই ঘরে বসে কম্পিউটার আর অনলাইন সংযোগ নিয়ে যার যার ঘরে বসে আয় করার জন্য উঠে পরে লেগে যেত, আর ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার আয় করত। কিন্তু বাস্তবে অনলাইনে আয়ের চিত্রটা একটু ভিন্ন। আসলে আপনার যদি অনলাইনে কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে আউটসোর্সং কেন অন্য যেকোন সেক্টরে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারেন। আউটসোর্সিং এর ভিন্নমাত্রা হল, এখানে (আউটসোর্সিং) কাজ করা এবং অনলাইনে কাজ পাবার স্বাধীনতা আপনার আছে যা আপনি অন্য কোন পেশায় তা পাবেন না বললেই চলে। পার্থক্য হল আপনার পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন এখানে পাবেন এবং এখই সাথে উপযুক্ত পাওনা পাবেন, অন্যান্য পেশায় যার জন্য প্রতিনিয়ত কর্তাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের মন কাষাকষি প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে, যা আউটসোর্সিং করলে আপনি পাবেন না। এক কথায় আউটসোর্সিং হল উপযুক্ত কাজ করে এবং তা থেকে সহজ উপায়ে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম। যেখানে আপনার সফল হতে হলে, অবশ্যই আপনাকে প্রথমেই দক্ষতা অর্জন করতেই হবে, এবং কাজ করার জন্য আপনাকে সঠিক মার্কেটপ্লেস আসতে হবে।
আউটসোর্সিং কি ?
আউটসোর্সিং হচ্ছে তথা ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হল একটি স্বাধ পেশা। অর্থাৎ স্বাধীনভাবে কাজ করে আয়ের একটি অন্যতম পেশা। একটু সহজ ভাবে বলতে চাইলে, ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে অন্যকোন বা ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাজ প্রদান করে তা ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে তা করিয়ে নেয়া। নিজের প্রতিষ্ঠান বাদে অন্য কোন ব্যক্তি অথবা কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এসব কাজ করানোকেই মূলত আউটসোর্সিং বলে। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন, মূলত তারাই হলেন ফ্রিল্যান্সার।
আউটসোর্সিং কাজ কি ?
আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আমরা বিভিন্ন ধরণের কাজ পেতে পারি। যেমন: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখা ও অনুবাদ, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, প্রশাসনিক সহায়তা, গ্রাহকসেবা (Customer Service), ব্যবসাসেবা, বিক্রয় ও বিপণন ইত্যাদি। এই প্রকার কাজ ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা আপনার পক্ষে সম্ভব। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের কাজের ব্যাবস্থা আছে এই বিশাল বড় আউটসোর্সিং জগতে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব‌্যাবসায়ী বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই নানা পদ্ধতির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে খুব সহজেই আয় করার নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। বাস্তবে উপরে উল্লিখিত কাজগুলোতে যদি আপনার কোন কারিগরি কাজের দক্ষতা থাকে তবেই কেবলমাত্র আউটসোর্সিং জগতে থেকে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। কোনপ্রকার কাজের দক্ষতা ছাড়া এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভালকোন কিছু জানা না থাকলে ধোকা খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাই আগে কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করুন, তারপর এই পেশায় আসার চিন্তা ভাবনা করুণ। সত্যি বলতে আপনি যদি আপনার কাজের দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাছে লাগাতে পারেন তাহলেই আপনাকে দিয়েই সম্ভব এই সেক্টরে দেশের হয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা। শুধু দরকার ইনকামের সঠিক দিক নির্দেশনা, এবং যে কাজ করবেন তার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।


আউটসোর্সিং কেন করবেন এবং কিভাবে করবেন ?
আমাদের বাংলাদেশে এবং বিশ্বের প্রায় দেশেই আউটসোর্সিং জগতে কাজ করে এমন লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। কিন্তু তাদের সবাই শতভাগ সফল হতে পারেননি। সর্বদা মনে রাখবেন আউটসোর্সিং একটি স্বাধীন ও মুক্ত পেশা, সেখানে আপনার ব্যক্তিগত জবাবদিহিতার চেয়ে আপনার কাজের জবাবদিহিতা অনেক বেশি। আপনি এই জগতে আসবেন অবশ্যই আয় করার জন্য, এবং আপনি যার কাছ থেকে এই উপার্জন করবেন তাকে কোন না কোন সেবা প্রদান করেই এই উপার্যন আপনাকে করতে হবে। তাই যদি হয়, আপনার কাজ যদি সঠিক না হয়, আপনার কাজে যদি কোন প্রকার জবাবদিহিতা না থাকে, আপনি যদি কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক বেশী মনযোগী না হন, আপনার কাজে যদি অনেক বেশী স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে আপনার পক্ষে এই সেক্টরে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আউটসোর্সিং এ সর্বদা আপনি নিজেকে দিয়ে মূল্যায়ন করবেন। আপনার কাজের দক্ষতায় আপনাকে উপরের স্তরে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিবে, তাই আপনাকে যে কাজ দেওয়ার হবে সেই কাজ যদি আপনি সঠিক ভাবে সঠিক সময়ের মধ্য দিয়ে কাজটি ক্ল্যায়িন্তকে প্রদান করতে না পারেন তাহলে আপনাকে সেখান থেকে ছিটকে যেতে হবে সেই মুহূর্তেই, আর যদি তা পজিটিভ হয়, তাহলে সেও খুশি থাকবে এবং আপনারও ভবিষতে কাজ পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে অনেক খানি বেড়ে যাবে।

আয় করুন বিটকয়েন -প্রতিদিন ২ $ থেকে ৫$ ডলার !!


বিটকয়েন ইউজাররা হয়তো পোস্টটের শিরনাম শুনে চমকে গেছেন, চমকে গেলেও সত্য যে আপনি বিটকয়েন এরমাধ্যমে প্রতিদিন $02-$10 আয় করতে পারবেন, আজকে আমি আপনাদের সাথে 1000 থেকে 2500 সাতসি পেআউট সাইটসহ আরও একটি সাইট সম্পর্কে আলোচনা করব, সাইটটির নাম হলো Smart বিটকয়েন Faucet লিস্ট,এ সাইটটিতে Top 150++ বিটকয়েন লিস্ট পাবেন এবং আরও সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাই পোস্টটি ভালভাবে পরার অনুরোধ রইল....

আপনি যদি নতুন হন তাহলে নিচের লিংক থেকে পোস্টগুলো দেখেনিন, তানাহলে কিছুই বুঝতে পারবেননা-

01.বিটকয়েন কি? কিভাবে বিটকয়েন Faucet সাইট থেকে বিটকয়েন আয় করবেন? কত ডলার আয় করতে পারবেন?

02.যেভাবে সহজে বিটকয়েন একাউন্ট বা কয়েনবেইস একাউন্ট খুলবে


03.তাছাড়া ভিডিও টিউটরিয়ালটি দেখতে পারেন এখানে কিভাবে সহজে বিটকয়েন Faucet সাইট থেকে বিটকয়েন আয় করবেন তা দেখানো হয়েছে - ইউটিউব থেকে দেখতেএখানে ক্লিক করুন ।


এবার কাজের কথায় আসি, এখানে ক্লিক করে সাইটটিতে যান, সাইটটির নাম হলো Super Bitcoin Faucet , এ সাইটটিতে আপনি অনেক List বিটকয়েন লিস্ট পাবেন এবং আরও সুযোগ-সুবিধা পাবেন.

এখান থেকে আপনি প্রতিটি সাইটের এর উপর ক্লিক করলে সাইটটি ভিসিট করতে পারবেন,এখানে যতগুলি সাইটের লিস্ট দেওয়া আছে আপনি যদি সবগুলো সাইটে ভালভাবে কাজ করেন তাহলে
কোন রেফারেল ছাড়াই প্রতিদিন $03++ আয় করতে পারবেন,তাছাড়া প্রতিটি Faucet সাইটের রেফারেল লিংক থাকে যদি কিছু রেফারেল জোগাড় করতে পারেন তাহলেতো প্রতিদিন $10 আয় করা কোন বেপারি না।

বি:দ্র: Super Bitcoin Faucet লিস্ট এ যতগুলি সাইটের লিস্ট আছে তার সবটিই FaucetBox মাইক্রো ওয়ালেট এ পেআউট করে থাকে, FaucetBox ব্যালেন্স চেক করতে Super Bitcoin Faucet সাইটের FaucetBox Address checker এর লিংকটিতে ক্লিক করুন এবং আপনার বিটকয়েন এড্রেসটি দিয়ে চেক করুন।


এই পোস্টটিতে আমি সাধ্যমত চেস্টা করেছি সবকিছু ভালভাবে বোঝানোর জন্য, এর পরেও যদি কারও বুঝতে অসুবিধা হয় আমার Facebook It Group BD তে Join করে 
যোগাযোগ করবেন। আমি চেস্টা করব বোঝানোর জন্য। 

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ,কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা!!